নানা কারণে চোখ ট্যারা হতে পারে। প্রথমত বংশগত কারণে। বাবা-মা পূর্ব পুরুষের ট্যারা চোখের ইতিহাস থাকলে শিশুরাও চোখ ট্যারা নিয়ে জন্মাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চোখের মাংশপেশির অসামঞ্জস্যতাই দায়ী।
এছাড়া চোখের পাওয়ার খুবই বেশি প্লাস কিংবা মাইনাস থাকলে, কোন কারণে এক চোখের দৃষ্টি বেশি কম থাকলে জন্মের পরও চোখ ট্যারা হয়ে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চশমা নেয়া বা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করতে হবে, তাহলে ট্যারা চোখ ভালো হবার সম্ভাবনা থাকবে।
বংশগত ট্যারা চোখে সাধারণতঃ ছোটবেলায় দুই চোখেই ভালো দেখার পাওয়ার থাকে। কিন্তু এক চোখ ট্যারা থাকার দরুন সেই চোখে দৃষ্টির সম্পুর্ণ উন্নতি সাধন হয় না। পরবর্তীতে ঐ চোখ অলস চোখ (খধুু বুব) এ পরিণত হয়। সেইজন্য শিশুদের বেলায় যদি চোখের পাওয়ার ঠিক থাকে তাহলে অপারেশন এর মাধ্যমে চোখ সোজা করে নেয়া উচিত। যত অল্প বয়সে করবে তত দুই চোখের দৃষ্টির উন্নতি হবে। তবে সাধারণতঃ ৮ বছর বয়স হবার পূর্বেই চিকিৎসা বা অপারেশন করাতে হবে। এরপরে চিকিৎসা করলে আশানুরূপ দৃষ্টির উন্নতি সম্ভব নাও হতে পারে।