আমাদের দেশে অধিকাংশ রোগীই মাথাব্যথার কথা বলে থাকেন। সব ধরনের মাথাব্যথাই মারাত্মক নয় বা অসহ্য ক্ষতিকর লক্ষণ নয় হবে কখনও কখনও মাথাব্যথা রোগীর জীবন ও দৃষ্টিশক্তির ওপর মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে এমনকি অন্ধত্ব ঘটাতে পারে।
জীবন ও দৃষ্টিশক্তির উপরে মাথাব্যথা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, এমন লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ:
-
মাথার হাড়ে ব্যথা।
-
শরীরের ওজন কমে যাওয়া।
-
কোন কিছু চিবাতে ব্যথা হওয়া।
-
মাংসপেশীতে ব্যথা এবং বয়স্ক রোগীর মাংসপেশীতে ব্যথা।
-
অপটিক স্নায়ু ফুলে যাওয়া।
-
জ্বর অনুভূত হওয়া।
-
দৈনন্দিন কর্মকান্ডে পরিবর্তন হওয়া।
-
কপালে ও ঘাড়ে ব্যথা হওয়া।
-
ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া।
-
দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া।
-
বমি বমি ভাব হওয়া।
-
চোখে ঝাপসা দেখা।
-
মাথার এক জায়গায় ব্যথা হওয়া ও ঘুম থেকে উঠলে মাথাব্যথা।
-
প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরেও যে ব্যথা কমে না।
মাথাব্যথার কারণসমূহ
-
চোখের উচ্চচাপ (গ্লুকোমা)
-
মাথার বড় ধমনীর প্রদাহ (জায়ান্ট সেল আরটারিং)
-
চক্ষুগোলকের চারিদিকে ব্যথা
-
উচ্চ রক্তচাপ
-
মস্তিষ্কের ভেতরের প্রেসার বৃদ্ধি
-
অবডুসেন্স স্নায়ু বৈকল্য
-
মস্তিষ্কের ফোঁড়া
-
মস্তিষ্কের টিউমার
-
মানসিক দুশ্চিন্তা
-
চোখের ভেতরে রক্ত জমা
-
মাথায় আঘাত লাগা ও মাথার চামড়ার নিচে রক্ত জমা
-
অতিরিক্ত টেনশন
-
মাইক্রেইন
-
সাইনোসাইটিস
-
ঘারপিস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া
-
মুখমন্ডলের জয়েন্টে ব্যথা
-
ভ্রমণের কারণে মাথাব্যথা
-
মেরুডণ্ডে ব্যথা
-
দাঁতের ব্যথা
-
ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুতে প্রদাহ
-
ইউভিয়েটিস
-
মানসিক বিকারগ্রস্থতা
-
দুটি চোখ একত্রে একদিকে না আসা
-
কাছে পড়ার চশমা
-
জন্মনিয়ন্ত্রণ না নেওয়া
মাথাব্যথা করণীয়
উপরোক্ত কারণসমূহ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।
-
চোখের পরীক্ষা প্রথমেই করা উচিত- যেমন চক্ষুগোলকের এদিক-ওদিক ঘুরানো।
-
দৃষ্টিশক্তি নিরূপণ।
-
মণির অবস্থান নির্ণয় করা।
-
চোখের উচ্চচাপ পরিমাপন করা।
-
রেটিনা ও ফাঙ্গাস পরীক্ষা।
-
চশমার জন্য পরীক্ষা (রিফ্রাকশন)।
চোখের রোগ না পাওয়া গেলে রোগীর কাছে শোনা। রোগের লক্ষণ অনুসারে নাক কান গলা বিভাগ, দন্ত বিভাগ, স্নায়ুরোগ বিভাগ, মেডিসিন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এছাড়া চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসারে রক্ত পরীক্ষা, রক্তচাপ পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান, এম আর আই করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, মাথাব্যথা হলেই মাথায় এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান করতে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেয়া উচিত।