‘ম্যাকুলা’ হচ্ছে চোখের রেটিনার কেন্দ্রে অবস্থিত ৫.৫ মি.মি. আয়তনের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্থান। আমাদের তীক্ষ্মদৃষ্টির জন্যে, এই ‘ম্যাকুলা’র সুস্থ্য থাকা দরকার। বয়স বাড়ার সাথে সম্পর্কিত এই ম্যাকুলার কোষ পরিবর্তন হয় বা ডিজেনারেশান হয়- যার নাম ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশান’
সাধারণতঃ ৫০-৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মাঝে এই রোগ শুরু হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই রোগের হারও বাড়তে থাকে। ম্যাকুলার ডিজেনারেশান দুই ধরনের হয়ে থাকে। শুকনা ও ভেজা ধরনের রোগীদের দৃষ্টি আস্তে আস্তে কমতে থাকে। সাধারণতঃ দুই চোখই আক্রান্ত হয় তবে আগে-পিছে হতে পারে। দেখার মধ্যখানে কালো স্পট আসতে পারে- বস্তুগুলি-আঁকাবাঁকা বা ছোট, বড় দেখা যেতে পারে। ছবির চার্টের দাগগুলি বাঁকা মনে হতে পারে। লেখাপড়া করতে সমস্যা হয়। গাড়ীর আলো চোখে পড়লে বা অন্য কোন শক্তিশালী আলো চোখে পড়লে- চোখ ঘোলা হয়ে যেতে পারে। ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এর চিকিৎসার সফলতা কম। শুকনা ধরনের ক্ষেত্রে এখনও কোন চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না তবে ভেজা ধরনের ডিজেনারেশনে চোখের ভেতরে এক ধরনের লেজার এবং ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করলে অনেক ক্ষেত্রেই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এই চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিধায় বাংলাদেশে এর প্রচলন এখনও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।