জন্ম থেকে তিন সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত শিশুর চোখ ওঠলে তা অনেক মারাত্মক হতে পারে। সাধারণ এই চোখ ওঠার নাম দেয়া হয়েছে ‘অফথ্যালমিয়া নিওনেটোরাম’।
গণকক্কাস, স্টাফাইলোকক্কাস, স্ট্রেপটোকক্কাস, জীবাণুই নবজাতকের চোখ ওঠার কারণ। সাধারণ ডেলিভারিতে বাচ্চা ভূমিষ্ট হবার সময় চোখের এই সংক্রমণ ঘটে। নবজাতকের চোখের কর্ণিয়া ও কনজাংটিভা থাকে অত্যন্ত পাতলা। রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ‘অ্যাডেনয়েড লেয়ার’ থাকে অনুপস্থিত। সেজন্যে- চোখ ওঠা রোগটি দ্রুত বিস্তার লাভ করে। চোখের ভেতরে ও বাইরে পুজ জমে। কর্ণিয়া ছিদ্র হয়ে জীবাণু চোখের ভেতরে প্রবেশ করে এবং কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
নবজাতকের চোখ ওঠা প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ বেশি জরুরী। মায়ের স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ ডেলিভারী খুবই জরুরী। নবজাতকের চোখ ওঠা রোগ নির্ণয়ের সংগে সংগে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া এবং ৫-১০ মিনিট পর পর চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ফোঁটা ওষুধ ব্যবহার করলে চোখ ভালো হয়ে যায়।